0 / 0

 তাগুত নুসাইরিয়া বাহিনীর হাতে যিনি মারা গেছেন তিনি কী শহিদ?

প্রশ্ন: 179482

প্রশ্ন: আমার ঘটনা নিম্নরূপ: আমি ২৫ বছর বয়সী একজন সিরিয়ান নারী। প্রায় এক বছরের কম সময় আগে মেডিকেল কলেজে আমার এক সহপাঠী আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। তার প্রস্তাবে প্রাথমিক সম্মতি দেয়ার পর খিতবার কাজটি অচিরেই শেষ করে ফেলার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু এর মধ্যে সিরিয়ায় গণ্ডগোল শুরু হল। গণ্ডগোলের কারণে আমরা অন্যদেশে চলে গেলাম এবং বিষয়টি ৮ মাস পিছিয়ে গেল। এ সময়কালে আমি আমার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অনেকটাই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেলাম এবং বহুবার আমার সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসার চিন্তাও মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। কারণ আমি পাত্রের ব্যাপারে পুরোপুরি সম্মত ছিলাম না। পুরোপুরি সম্মত না হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- সে ছেলে যখন বিয়ের প্রস্তাব দিতে এল তখন আমাকে খোলাখুলিভাবে বলেছে, সে এক মেয়েকে পছন্দ করত এবং সে মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু মেয়ের পরিবার রাজি না থাকায় ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে পারেনি। অন্য আরেকটি মেয়ে তাকে মোবাইলে ডিস্টার্ব করে, যে মেয়েকে সে চিনে না। কিন্তু সে মেয়েটি তার কাছে বিয়ে বসতে চায়, তাকে ভালবাসে। আমি প্রায় প্রতিদিন ইস্তিখারার নামায পড়তাম। এরপর আমরা দেশে ফেরার পর তার পরিবার এসে কাজটি সমাধা করতে চাইল; তখন আমিও সম্মতি দিলাম। যেহেতু ছেলেটি দ্বীনদার, চরিত্র ভাল, উন্নত সার্টিফিকেটধারী। অন্য বিষয়গুলো গোপন থাক— আমি সেটাই চাইলাম। সে জোর দিয়ে বলত যে, সে আমাকে প্রচণ্ড ভালবাসে, আমাকে বউ হিসেবে পেতে চায়। আমার স্বভাব-চরিত্র ও শিষ্টাচারে সে মুগ্ধ। অবশেষে আমাদের বিয়ের কাবিন হল। সুবহানাল্লাহ, আল্লাহ আমার অন্তরেও তার প্রতি ভালবাসা ঢেলে দিলেন। কিন্তু দুই সপ্তাহ পর আমাদের মধ্যে সমস্যা শুরু হল। কারণ সে আমাদের বাসায় আসত না; তার সাথে ইউনিভার্সিটিতে দেখা হত। এ বিষয়টি আমাকে খুবই মর্মাহত করত। কারণ সে থাকত অন্য এক শহরে; আমাদের শহর থেকে প্রায় দেড় ঘন্টার রাস্তা। কখনো সে কারণ দেখাত যে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভাল নয়; কখনো বলত: সে কাজে ব্যস্ত। এক পর্যায়ে সে আমাদের বাসায় আসতে সম্মত হল। সে যখন আমাদের বাসায় থাকত তখন আমার ছোট বোনের সাথে যে আচরণ করত তাতে আমি খুব সংকোচবোধ করতাম। সে বলত, সে আমার বোনের ব্যক্তিত্বে অভিভূত। আরও বলত, সে আমার ছোট বোনকে নিজের বোনের মত ভালবাসে! বাস্তবে হয়তো সেটাই ছিল। কারণ তার মন ভাল ছিল। কিন্তু আমি মানতে পারতাম না। যার কারণে আমাদের মাঝে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আমি সবসময় মানসিক কষ্টে ভুগতাম; এমনকি কোন কারণ ছাড়াই। দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত ও মনমরা হয়ে থাকতাম। আর প্রতিদিন কাঁদতাম। কেন এ প্রস্তাব দিলাম সেটা নিয়েও অনুশোচনা করতাম। নিজেকে তার সাথে ও অন্য প্রস্তাবক ছেলেদের সাথে তুলনা করতাম এবং আমার মন বলত অন্যেরা তার চেয়ে ভাল হত। এরপর আমি পুনরায় ইস্তিখারার নামায পড়া শুরু করলাম; তবে এবার বিয়ের প্রস্তাব তুলে নেয়ার নিয়তে। কুরআন শরিফ পড়া শুরু করলাম যেন আল্লাহ আমাকে সঠিক সিদ্ধান্তের দিশা দান করেন। কিন্তু আমার পরিবার এ চিন্তা সম্পূর্ণরূপে অগ্রাহ্য করে আসছিল। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল- এর পিছনে মৌলিক কোন কারণ নেই। তারা বলত, আমি নানারকম বাহানা করছি। আমার ব্যাপারে ছেলে কোন ভুল করেনি। পরিবারের তিরস্কারের কারণে আমি এসব চিন্তা ঝেড়ে ফেললাম এবং আগের মত স্বাভাবিক জীবন যাপন করার সিদ্ধান্ত নিলাম। সেও আমার সাথে ব্যবহার অনেক ভাল করছিল এবং আমার ব্যাপারে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছিল। আমি খুব ভাল সময় কাটাচ্ছিলাম। পরিস্থিতি ভাল হয়ে যাওয়ায় আমি আল্লাহর প্রশংসা করলাম। এর মধ্যে আমি আমার পরিবারের সাথে এক সপ্তাহের জন্য সিরিয়ার বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। সফরের আগে আমি তাকে দেখতে চাইলাম। আমরা একমত হলাম সে এসে মাগরিবের আগে চলে যাবে, যেহেতু নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ। সে ঠিকই আসল, কিন্তু আমাদের এখানে একটু দেরি করে ফেলল; তবে তখন আমি বা সে কেউ সেটা টের পাইনি। সে আমাদের এখানে থেকে যাক আমি তাকে সেটাও বলতে পারছিলাম না। কারণ আমার পরিবার তা চাচ্ছিল না। সেও আমার কাছে এমন কিছু বলেনি। অথবা তার কোন বন্ধুর বাসায় সে থেকে যাবে সেটাও তার খেয়ালে আসেনি; আগে একবার যখন আমাদের এখানে এসে দেরি করে ফেলেছিল তখন সে এভাবে থেকে গিয়েছিল। সে গ্রাম থেকে তার এক ফুফাতো ভাই ও বোনদেরকে তাকে নেয়ার জন্য আসতে বলল। যেহেতু তার নিজের গাড়ী ছিল না। গ্রামের দূরত্ব প্রায় ৩ ঘণ্টার পথ। তাকে নেয়ার জন্য তারা চলে এল। তারা আমাদের বাসা থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর খবর আসল যে, তারা গ্রামে ফেরার পথে নিরাপত্তা বাহিনীর বোমার আঘাতে সে ও তার বোন মারা গেছে এবং তার ফুফাতো ভাই আহত হয়েছে। খবর শুনে আমি ভেঙ্গে পড়লাম এবং নিজেকে দোষারোপ করতে থাকলাম। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে- এক: এটা কি আল্লাহর পক্ষ থেকে আমার জন্য শাস্তিস্বরূপ? যেহেতু আমি অহংকার করতাম এবং তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে চাইতাম। সে দ্বীনদার ছিল, আমার সাথে ভাল ব্যবহার করত, আমাকে ভালবাসত। আমি আমার প্রতিপালকের এ নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করিনি। দুই: আমি ও আমার পরিবার কি তাদের গুনার বোঝা বইব? যেহেতু এ রাত্রিবেলা আমরা তাদেরকে যেতে বাধ্য করেছি? উল্লেখ্য, সেদিনের পরিস্থিতি অতবেশি খারাপ ছিল না। এমন কিছু ঘটতে পারে তা মনেও আসেনি। এ সংবাদ যেন মহাপ্রলয়ের মত আমাদেরকে বিদ্ধ করল। কখনো কখনো আমি আমার পরিবারের উপর দোষারোপ করি। কারণ তারা তাকে এখানে থাকতে দেয়নি। তিন: সে কি আল্লাহর কাছে শহিদ হিসেবে গণ্য হবে? যেহেতু সে অন্যায়ভাবে মারা গেছে। আশা করব, আমার প্রশ্নগুলোর জবাব দিবেন। এ দুর্ঘটনার পর থেকে অত্যন্ত খারাপ মানসিকতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এখনো আমার চোখের পানি শুকায়নি।

উত্তর

আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা

আলহামদুলিল্লাহ।

এক:

প্রথমেইআমরা আল্লাহরদরবারে দুআকরি তিনি যেন,এ দুর্যোগ ওদুর্ভোগ থেকেআপনাদেরকেউদ্ধার করেন।আপনাদেরমৃতদের প্রতিরহম করেন, তাদেরকেশহিদ হিসেবেকবুল করে নেন।নেওয়ারঅধিকারআল্লাহর,দেওয়ারঅধিকারও আল্লাহর।তাঁর কাছেসবকিছুরসুনির্দিষ্টমেয়াদ রয়েছে।আল্লাহ তাআলামাখলুকাতেরমৃত্যুসময়লিপিবদ্ধ করেরেখেছেন;নির্দিষ্টকরে রেখেছেন।যারমৃত্যুসময় উপস্থিতহবে তাকে একটুওকম বা বেশিসময় দেয়া হবেনা। আল্লাহতাআলা বলেন(ভাবানুবাদ): “আল্লাহ আত্মাগুলোকেহরণ করেন সেগুলোরমৃত্যুর সময়এবং যেগুলোঘুমের মধ্যেমরেনিসেগুলোরও।অতঃপর যারমৃত্যুর সিদ্ধান্তহয়ে গেছে তার আত্মারেখে দেন। অন্যদেরটাএকটিনির্দিষ্টসময়ের জন্য ছেড়েদেন। নিশ্চয়এতেচিন্তাশীললোকদেরজন্যে নিদর্শনাবলীরয়েছে।”[সূরাযুমার, আয়াত:৪২]

শাইখসা’দী(রহঃ) বলেন:

আল্লাহঅবহিত করেনযে, জাগরণ ওতন্দ্রাকালে,জীবদ্দশায় ওমৃত্যুকালে বান্দারতত্ত্বাবধায়কএকমাত্রতিনিই। আল্লাহবলেন: “আল্লাহআত্মাগুলোকেহরণ করেন সেগুলোরমৃত্যুর সময়” এটিহচ্ছে বড়তিরোধান,মৃত্যুরতিরোধান।আল্লাহ আরওবলেন: “যেগুলোঘুমের মধ্যেমরেনিসেগুলোরও” এটি ছোটমৃত্যু।অর্থাৎ যেআত্মা ঘুমেরমধ্যে মরেনিসে আত্মাকেওআল্লাহ হরণকরেন। এরপর এদুটি আত্মাথেকে “যারমৃত্যুর সিদ্ধান্তহয়ে গেছে তার আত্মারেখে দেন” সেটি এমনআত্মা যে মারাগেছে অথবাঘুমের মধ্যেইযার মৃত্যু ঘটেছে।আর অপরআত্মাটিকেএকটিসুনির্দিষ্টসময়ের জন্যপুনরায়প্রেরণ করেন;যেন সে আত্মাতার রিযিক ওবয়স পূর্ণকরে। তাফসিরেসাদী পৃষ্ঠা-৭২৫ থেকেসমাপ্ত।

দুই:

পক্ষান্তরেআপনারস্বামীর সাথে –আপনাদেরমাঝে বৈবাহিকসম্পর্কসম্পন্ন হয়েছেধরা হলে-আপনার যে আচরণবা কসুর অথবাআত্মসম্মানবোধকেন্দ্রিকঅভিমান এগুলোরকোন না কোনকারণ ছিল। পরবর্তীতেআপনাদের মাঝেসমঝোতা হয়েছে,আপনি সম্পর্কছিন্ন করারচিন্তা ছেড়েদিয়েছেন।আপনাদের সম্পর্কআগের চেয়ে ভালহয়েছে।সুতরাং এর আগেযা কিছু ঘটেছেসেসব নিয়েদুঃশ্চিন্তাকরার কোন কারণনেই। এসবচিন্তা আপনারকোন কাজে আসবেনা। বরং আপনারশারীরিক ওমানসিক অশান্তিরকারণ হবে। দুঃখিত-ভারাক্রান্তহওয়া বা কিঞ্চিতকান্নাকাটিকরাতে দোষেরকিছু নেই। তবেআল্লাহরতাকদিরেরব্যাপারেঅসন্তুষ্টিপ্রকাশ করাথেকে সাবধানথাকুন। হাউমাউকরে কান্নাকাটিকরা থেকে বিরতথাকুন। আশাকরছি এমুসিবতেআল্লাহআপনাকে ধৈর্যধারণ করারতাওফিক দিবেন,আপনাকে এরপ্রতিদান দিবেনএবং যাহারিয়েছেনতার চেয়ে ভালকিছু আপনাকেদিবেন।

আপনি71236 নংপ্রশ্নোত্তরটিদেখতে পারে;সেখানেবিপদ-মুসিবতেমুমিনেরকরণীয় কী এবংকী বলবে বা কীকরবে তা তুলেধরা হয়েছে।

তিন:

তিনিযে দুর্ঘটনারশিকার হয়েছেনসেটার দায়জালেম ও তাগুতবাহিনী ছাড়াঅন্য কারো উপরবর্তানো উচিতহবে না। কারণতারাই তাকেহত্যা করেছে,তার বোনকেহত্যা করেছে।আল্লাহ তাআলাএটাই তাকদির(নির্ধারণ)করে রেখেছেন।তিনিভেবেছিলেন রাত্রিবেলাগ্রামে ফিরেযাওয়াটা কঠিনহবে না। কোনসন্দেহ নেইযদি তিনি এমনকিছু আশংকাকরতেন তাহলেতার কোনবন্ধুর কাছেঘুমাতেন।অথবা রাতেরবেলা আপনাদেরবাড়ীতেইথাকতেচাইতেন। অতএব,আপনার অথবাআপনারপরিবারের কোনদোষ নেই। আল্লাহতাআলা আযলে বাসৃষ্টিরপূর্বে যানির্ধারণ করেরেখেছেন তারক্ষেত্রেসেটাই ঘটেছে। এটাযে, তার তাকদিরেছিল এর সমর্থনপাওয়া যায় তাকেনিয়ে যাওয়ারজন্য তারফুফাতো ভাই ওতার বোনেরআপনাদেরবাড়ীতে আগমন।যদিরাত্রিবেলা পরিস্থিতিচলাফেরারউপযুক্ত না হততাহলে তারফুফাতো ভাইঅথবা তার বোনআপত্তি জানাতএবং তারাগ্রাম থেকে তাকেনিতে আসত না।

অতএব,তাকে অথবা তারপরিবারকে দোষারোপকরার কিছুনেই। আপনাকেএবং আপনারপরিবারকে দোষারোপকরার কিছুনেই। আল্লাহযা নির্ধারণকরে রেখেছেন,যা ইচ্ছাকরেছেন সেটাইঘটেছে। আমরাদুআ করি,আল্লাহ তাকেরহম করুন,তাকে ক্ষমাকরে দিন। তাকে,তার বোনকে এবংঅন্যায়ভাবেনিহত হওয়া সকলমুসলমানকেআল্লাহ শহিদহিসেবে কবুলকরুন। কারণ তিনিনাস্তিক্যবাদীও বাতেনিচিন্তাধারারঅধিকারী বাথপার্টির বাহিনীরহাতে নিহতহয়েছেন। কারণতিনি তার গাড়ীতেনিহত হয়েছেন; গাড়ীতেমারা যাওয়া ভূমিধ্বসের সাথেসামঞ্জস্যপূর্ণ।ভূমি ধ্বসেমারা গেলেশহিদের সওয়াবপাওয়ার কথাহাদিসেসাব্যস্তহয়েছে। এবিষয়ে আরওজানতে 129214 নংপ্রশ্নোত্তরটিদেখা যেতেপারে; সেখানেআরওবিস্তারিতবিবরণ আছে।

চার:

জেনেরাখুন, আপনারউপর চার মাসদশদিন ইদ্দতপালন করা ওয়াজিব— এ বিষয়েআমরা আপনারদৃষ্টিআকর্ষণ করছি।যে নারীরস্বামী মারাগেছেন তার উপরকি কি বিষয়পরিত্যাগ করাঅপরিহার্যসেগুলো আমরা 1067013966 নংপ্রশ্নোত্তরেউল্লেখকরেছি। যেমন-প্রয়োজন ছাড়াদিনের বেলায় এবংজরুরত ছাড়ারাতের বেলায় ঘরথেকে হওয়া।সুন্দর পোশাকপরিধান।স্বর্ণ ও অন্যকোন অলংকারপরিধান।সুগন্ধিরব্যবহার; তবেহায়েয ও নিফাসথেকে পবিত্রহওয়ার পরসামান্যব্যবহার করাযেতে পারে।সুরমা ওমেহেদিরব্যবহার।

আল্লাহইভাল জানেন।

সূত্র

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android