0 / 0
3,88109/05/2016

যে ব্যক্তি লাগাতর দুই মাসের রোযা রাখা শুরু করেছে এর মধ্যে রমযান মাস ঢুকে গেছে এতে করে কি তার ‘লাগাতর’ এর বিষয়টি ভঙ্গ হয়ে যাবে

প্রশ্ন: 124817

প্রশ্ন: আমি জানি, যে ব্যক্তি রমযান মাসে দিনের বেলায় স্ত্রী সহবাস করেছে তার জন্য কাফফারা হচ্ছে- দুই মাস রোযা রাখা কিংবা ষাটজন মিসকীনকে খাওয়ানো। এই দুই মাস রোযা কি লাগাতরভাবে রাখতে হবে? যে ব্যক্তি এ রোযাগুলো রাখা শুরু করেছে; এর মধ্যে রমযান মাস শুরু হয়ে গেছে সে কি রমযানের পর যে পর্যন্ত রোযা রেখেছিল এর পর থেকে শুরু করবে নাকি তাকে নতুনভাবে শুরু করতে হবে? ষাটজন মিসকীন খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সকলকে কি একই সময়ে খাওয়াতে হবে?

উত্তর

আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা

আলহামদুলিল্লাহ।

এক:

যে ব্যক্তিরমযান মাসে দিনেরবেলায় স্ত্রী সহবাসকরল সে গুনাহরকাজ করল; তার উপরকাফফারা আদায় করাফরয। কাফফারা হচ্ছে-একজন ক্রীতদাসআযাদ করা; যদি ক্রীতদাসনা পায়, তাহলে লাগাতরভাবেদুইমাস রোযা রাখা;যদি সেটাও না পারে,তাহলে ষাটজন মিসকীনকেখাওয়ানো। যে ব্যক্তিরোযা রাখতে সক্ষমতার জন্য মিসকীনখাওয়ানো জায়েযনেই।

সহবাসেরকারণে কাফফারাফরয হওয়ার দলিলহচ্ছে- সহিহ বুখারী(১৯৩৬) কর্তৃক বর্ণিতহাদিস, আবু হুরায়রা(রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেন: একদাআমরা নবী সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লামেরকাছে উপবিষ্ট ছিলাম।হঠাৎ করে এক লোকএসে বলল: ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি ধ্বংসহয়েছি। তিনি বললেন:তোমার কি হয়েছে?লোকটি বলল: রোযারেখে আমি স্ত্রীসহবাস করে ফেলেছি।নবী সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লামবললেন: তুমি কিএকটি ক্রীতদাসআযাদ করতে পারবে?লোকটি বলল: না।তিনি বললেন: তুমিকি লাগাতর দুইমাসরোযা রাখতে পারবে?লোকটি বলল: না।তিনি বললেন: তাহলেতুমি কি ষাটজনমিসকীনকে খাওয়াতেপারবে?…[আল-হাদিস]

এ হাদিসটিপ্রমাণ করছে যে,দুইমাসের রোযালাগাতরভাবে রাখতেহবে। যেহেতু নবীসাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেন: “তুমি কিলাগাতর দুইমাসরোযা রাখতে পারবে?”

যে ব্যক্তিএই রোযা রাখা শুরুকরেছে; এর মধ্যেরমযান এসে গেছেতখন সে রমযানেররোযা রাখবে, ঈদেরদিন রোযা রাখবেনা। এরপর আবারদুই মাসের অবশিষ্টরোযাগুলো রাখবে।নতুনভাবে শুরুকরতে হবে না। কারণরমযানের রোযা রাখারকারণে তার ‘লাগাতর’এর বিষয়টি ভঙ্গহবে না।

ইবনে কুদামাবলেন:

যে ব্যক্তিশাবান মাসের শুরুথেকে যিহার এররোযা শুরু করেছেসে ঈদের দিন রোযারাখবে না; এরপরঅবশিষ্ট রোযাগুলোপূর্ণ করবে। অনুরূপভাবেযে ব্যক্তি জিলহজ্জমাসের এক তারিখথেকে রোজা রাখাশুরু করেছে সেকোরবানীর ঈদেরদিন ও তাশরিকেরদিনগুলো রোযা রাখবেনা। এর অবশিষ্টরোযাগুলো পূর্ণকরবে।

সারকথা হচ্ছে-

যিহারেররোযা রাখার মাঝখানেযদি এমন কোন সময়এসে পড়ে যে সময়েকাফফারার রোযারাখা সহিহ নয় যেমনএকব্যক্তি শাবানেরএক তারিখ থেকেরোযা রাখা শুরুকরল এর মাঝখানেরমযান মাস ও ঈদুলফিতর পড়ল কিংবাজিলহজ্জের এক তারিখথেকে রোযা রাখাশুরু করল এর মাঝখানেকোরবানীর ঈদ ওতাশরিকের দিনগুলোপড়ল এতে করে ঐ ব্যক্তির‘লাগাতর’ এর বিষয়টিভঙ্গ হবে না। সেএরপর অবশিষ্ট রোযাগুলোপূর্ণ করবে।[মুগনিথেকে সমাপ্ত (৮/২৯)]

দুই:

ষাটজন মিসকীনকেএক সময়ে খাওয়ানোফরয নয়। বরং ভিন্নভিন্ন সময়ে গ্রুপেগ্রুপে সে ব্যক্তিখাওয়াতে পারেন।যাতে সংখ্যা ষাটজনপূর্ণ হয়।

আরও জানতে1672 নং প্রশ্নোত্তরদেখুন।

আল্লাহই ভাল জানেন।

সূত্র

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android