আলহামদুলিল্লাহ।
এক:
যে ব্যক্তিরমযান মাসে দিনেরবেলায় স্ত্রী সহবাসকরল সে গুনাহরকাজ করল; তার উপরকাফফারা আদায় করাফরয। কাফফারা হচ্ছে-একজন ক্রীতদাসআযাদ করা; যদি ক্রীতদাসনা পায়, তাহলে লাগাতরভাবেদুইমাস রোযা রাখা;যদি সেটাও না পারে,তাহলে ষাটজন মিসকীনকেখাওয়ানো। যে ব্যক্তিরোযা রাখতে সক্ষমতার জন্য মিসকীনখাওয়ানো জায়েযনেই।
সহবাসেরকারণে কাফফারাফরয হওয়ার দলিলহচ্ছে- সহিহ বুখারী(১৯৩৬) কর্তৃক বর্ণিতহাদিস, আবু হুরায়রা(রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেন: একদাআমরা নবী সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লামেরকাছে উপবিষ্ট ছিলাম।হঠাৎ করে এক লোকএসে বলল: ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি ধ্বংসহয়েছি। তিনি বললেন:তোমার কি হয়েছে?লোকটি বলল: রোযারেখে আমি স্ত্রীসহবাস করে ফেলেছি।নবী সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লামবললেন: তুমি কিএকটি ক্রীতদাসআযাদ করতে পারবে?লোকটি বলল: না।তিনি বললেন: তুমিকি লাগাতর দুইমাসরোযা রাখতে পারবে?লোকটি বলল: না।তিনি বললেন: তাহলেতুমি কি ষাটজনমিসকীনকে খাওয়াতেপারবে?...[আল-হাদিস]
এ হাদিসটিপ্রমাণ করছে যে,দুইমাসের রোযালাগাতরভাবে রাখতেহবে। যেহেতু নবীসাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেন: “তুমি কিলাগাতর দুইমাসরোযা রাখতে পারবে?”
যে ব্যক্তিএই রোযা রাখা শুরুকরেছে; এর মধ্যেরমযান এসে গেছেতখন সে রমযানেররোযা রাখবে, ঈদেরদিন রোযা রাখবেনা। এরপর আবারদুই মাসের অবশিষ্টরোযাগুলো রাখবে।নতুনভাবে শুরুকরতে হবে না। কারণরমযানের রোযা রাখারকারণে তার ‘লাগাতর’এর বিষয়টি ভঙ্গহবে না।
ইবনে কুদামাবলেন:
যে ব্যক্তিশাবান মাসের শুরুথেকে যিহার এররোযা শুরু করেছেসে ঈদের দিন রোযারাখবে না; এরপরঅবশিষ্ট রোযাগুলোপূর্ণ করবে। অনুরূপভাবেযে ব্যক্তি জিলহজ্জমাসের এক তারিখথেকে রোজা রাখাশুরু করেছে সেকোরবানীর ঈদেরদিন ও তাশরিকেরদিনগুলো রোযা রাখবেনা। এর অবশিষ্টরোযাগুলো পূর্ণকরবে।
সারকথা হচ্ছে-
যিহারেররোযা রাখার মাঝখানেযদি এমন কোন সময়এসে পড়ে যে সময়েকাফফারার রোযারাখা সহিহ নয় যেমনএকব্যক্তি শাবানেরএক তারিখ থেকেরোযা রাখা শুরুকরল এর মাঝখানেরমযান মাস ও ঈদুলফিতর পড়ল কিংবাজিলহজ্জের এক তারিখথেকে রোযা রাখাশুরু করল এর মাঝখানেকোরবানীর ঈদ ওতাশরিকের দিনগুলোপড়ল এতে করে ঐ ব্যক্তির‘লাগাতর’ এর বিষয়টিভঙ্গ হবে না। সেএরপর অবশিষ্ট রোযাগুলোপূর্ণ করবে।[মুগনিথেকে সমাপ্ত (৮/২৯)]
দুই:
ষাটজন মিসকীনকেএক সময়ে খাওয়ানোফরয নয়। বরং ভিন্নভিন্ন সময়ে গ্রুপেগ্রুপে সে ব্যক্তিখাওয়াতে পারেন।যাতে সংখ্যা ষাটজনপূর্ণ হয়।
আরও জানতে1672 নং প্রশ্নোত্তরদেখুন।
আল্লাহই ভাল জানেন।