আলহামদুলিল্লাহ।
জেদ্দাবাসীযদি জেদ্দাথেকে হজ্জ বাউমরার নিয়তকরেন তাহলেতাদেরকেসেখান থেকেইইহরাম বাঁধতেহবে। কারণজেদ্দামীকাতেরভেতরের স্থান।জেদ্দাবাসীরহুকুম হচ্ছেমীকাতের ভেতরেমক্কারআশপাশেঅবস্থানকারীদেরহুকুম। তারাযেখান থেকেনিয়ত করবেসেখান থেকেতাদেরকে ইহরামবাঁধতে হবে।
এর দলিলহচ্ছে বুখারি(১৫২৬) ওমুসলিম (১১৮১)কর্তৃক ইবনেআব্বাস (রাঃ)থেকে বর্ণিতহাদিস- “রাসূলসাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম মীকাতগুলোনির্ধারণ করেদিয়েছেন।মদিনার অধিবাসীদেরজন্য- যুলহুলাইফা;সিরিয়ারঅধিবাসীদেরজন্য- জুহফা;নজদ এরঅধিবাসীদের জন্য-ক্বারনুলমানাযিল;ইয়েমেনেরঅধিবাসীদেরজন্য-ইয়ালামলাম। এমীকাতগুলোতাদের জন্য যারাএ স্থানগুলোতেবসবাস করেকিংবা এস্থানগুলোযাদের পথেপড়ে; সে সবব্যক্তিদেরজন্য যারাহজ্জ ও উমরাআদায়ের নিয়তেবেরিয়েছে। আরযে ব্যক্তি এমীকাতগুলোরভেতরেঅবস্থান করেসে তার পরিবারথেকে ইহরামবাঁধবে।অনুরূপভাবেমক্কাবাসীমক্কা থেকেইহরাম বাঁধবে।
শাইখবিন বায বলেন:
উমরাআদায়কারীমক্কায় আসারপথে যে মীকাতদিয়ে পথঅতিক্রম করবেসে মীকাত থেকেইহরাম বাঁধবে;যদি সেমীকাতেরবাহিরেবসবাসকারীহয়।
আর যদিমীকাতেরভেতরেবসবাসকারী হয়;যেমন জেদ্দা,উম্মুস সালম,বাহরা,লাযিমা, শারায়েহইত্যাদিএলাকারঅধিবাসী তারাযেখান থেকেহজ্জ কিংবাউমরার নিয়তকরেছে সেখানইহরাম বাঁধবে।সমাপ্ত[ইসলামী ফতোয়া(২/৬৯০)]
শাইখউছাইমীন (রহঃ)বলেন:
যেজেদ্দাবাসীউমরা করারনিয়ত করেছেতার উপর জেদ্দাথেকে ইহরামবাঁধা ওয়াজিব;জেদ্দা যেনঅতিক্রম নাহয়। সমাপ্ত [লিকাউলবাব আল-মাফতুহ(২৪/১২১)]
পূর্বোক্তআলোচনারভিত্তিতে বলব:
আপনিআয়েশা মসজিদথেকে যে ইহরামকরেছেন সেটা যদিহজ্জের আগে যেউমরা করেছেনসে উমরার ইহরামহয়ে থাকেতাহলে আপনারাইহরাম করারনির্ধারিতস্থান তথামীকাত অতিক্রমকরে ইহরামকরেছেন।যেহেতুআপনাদের অবস্থানস্থলহচ্ছে-জেদ্দা; সেটাইআপনাদের মীকাত।
সতকর্তামূলকআপনাদেরকরণীয় হবে:প্রত্যেকেরপক্ষ থেকেএকটি ছাগলজবাই করা।মক্কাতে জবাইকরে এর গোশতমক্কারগরীবদেরমধ্যে বিতরণকরে দিতে হবে;এ গোশত নিজেরাখাওয়া যাবেনা।
ইবনেউছাইমীন বলেন:
কেউ যদিরাসূলসাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামকর্তৃকনির্ধারিতমীকাত থেকেইহরাম না বাঁধেতদুপরি তারইহরাম সহিহহবে; তারহজ্জ-উমরাওসহিহ হবে। তবেআলেমগণ বলেন:মীকাত থেকে ইহরামবাঁধা হজ্জকিংবা উমরারএকটি ওয়াজিবআমল। আর কেউযদি হজ্জকিংবা উমরারকোন একটিওয়াজিব বর্জনকরে তাকেফিদিয়া দিতেহবে। এই আমলেরঘাটতি পূরণকরার জন্য তাকেফিদিয়া দিতেহবে। এইফিদিয়া (পশু)মক্কাতে জবাইকরে এর গোশতমক্কারগরীবদেরমধ্যে বণ্টনকরে দিতে; এরগোশত খাওয়াযাবে না। এরপরআলেমগণ আরওবলেন: যদি কেউসক্ষম না হয়তাহলে সেদশদিন রোজারাখবে। আর কোনকোন আলেমবলেন: তাকেকোন কিছু করতেহবে না। সঠিকমতানুযায়ী যদিফিদিয়া দিতেনা পারে তাহলেতাকে কিছুকরতে হবে না।কারণ এমন কোনসহিহ দলিল নেইযে, কেউ যদি কোনওয়াজিব বর্জনকরে ফিদিয়াদিতে অক্ষম হয়তাকে দশদিনরোজা রাখতেহবে।[লিকাউলবাব আল-মাফতুহ(১৪/১৭৫)]
আরআপনারা আয়েশামসজিদ থেকে যেইহরাম বেঁধেছেনসেটা যদি উমরাআদায় করার পরআপনাদেরহজ্জের ইহরামহয়ে থাকে এবংআপনাদের উমরারইহরাম জেদ্দাথেকে বাঁধাহয়ে থাকে তাহলেআপনাদেরকেকোন কিছু করতেহবে না। যদিওআপনাদের উপরওয়াজিব হচ্ছেমক্কাতেযেখানে অথবাঅন্য যেস্থানেআপনারাউঠেছেন সেখানথেকে ইহরামবাঁধা; আয়েশামসজিদ কিংবাহারামের বাইরেরঅন্য কোনস্থানেযাওয়ার কোনপ্রয়োজন নেই।