0 / 0

যিনি রোগের কারণে রমজানের দুই দিনের রোযা না রেখে মারা গেছেন তার সন্তানদের করণীয় কী?

প্রশ্ন: 130283

প্রশ্ন :

আমার বাবা মারা গেছেন। তিনি মারা যাওয়ার আগের বছর রোগের কারণে রমজানের দুই দিনের রোযা রাখতে পারেননি। তিনি শাওয়াল মাসে মারা যান। তিনি বলেছিলেন যে, এই দুই দিনের রোযার পরিবর্তে তিনি মিসকীন খাওয়াবেন। এখন এর হুকুম কী এবং আমাদের উপরই বা কী করা ওয়াজিব? আমরা কি তার পক্ষ থেকে রোযা পালন করব এবং ফিদিয়া দিব, নাকি শুধু ফিদিয়া দিব? উল্লেখ্য যে, আমরা জানি না তিনি কি এই দুই দিনের পরিবর্তে ফিদিয়া দিয়েছিলেন অথবা রোযা রেখেছিলেন। তিনি ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত ছিলেন বিধায় খুব কষ্ট করে রমজান মাসে রোযা পালন করতেন।

উত্তর

আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা

সমস্তপ্রশংসাআল্লাহরজন্য।

যদিআপনাদের বাবাবিগত রমজানের সিয়ামকাযা করতে সামর্থ্যবান হওয়াসত্ত্বেওপরবর্তী রমজানআসা পর্যন্তএর কাযা আদায়েঅবহেলা করেথাকেন এবং এরপরে তিনি মারাযান, তবেআপনাদের জন্যউত্তম হল সেইদুই দিনেরকাযাআদায় করা। এব্যাপারে দলীল হলো-নবীসাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লামএর বাণী:“যেব্যক্তি তারজিম্মায়সিয়ামপালনবাকিরেখেমারাগেছেতারপক্ষথেকেতারওলি(আত্মীয়-পরিজন) রোযাপালনকরবে।”[সহীহবুখারী (১৮৫১) ওসহীহ মুসলিম (১১৪৭) ]

আর আপনারাযদিতাঁরপক্ষথেকেস্থানীয়খাদ্যেরএকস্বা‘ (প্রায়৩ কিঃগ্রাঃ এরসমান)পরিমাণখাদ্য কোনমিসকীনকে দানকরেনতবেসেটাওযথেষ্টহবে।

আরযদিপরবর্তীরমজান আসার আগে তিনিরোগেরকারণে সেই দুইদিনের রোযা কাযাপালনে সক্ষমনা হয়ে থাকেনতবে কোনকাযা আদায়করা বা ফিদিয়াআদায়করারপ্রয়োজন নেই।কারণ এক্ষেত্রেতিনি দায়িত্বপালনে কোনঅবহেলা করেন নি।

আল্লাহইতাওফিকদাতা। আল্লাহআমাদের নবীমুহাম্মাদ,তাঁরপরিবারবর্গ ও সাহাবীগণেরউপর রহমত ও শান্তিবর্ষণ করুন।”সমাপ্ত

গবেষণাও ফতোয়াবিষয়কস্থায়ী কমিটি

শাইখআব্দুলআযিযবিনআব্দুল্লাহবিনবায, শাইখআব্দুল্লাহবিনগুদাইইয়ান, শাইখসালেহফাওযান, আব্দুলআযীযআলেশাইখ,শাইখবাক্‌রআবুযাইদ। [ফাতাওয়াআল-]

সূত্র

ফাতাওয়াল্‌ লাজ্‌নাদ্‌ দায়িমাহ, দ্বিতীয় খণ্ড (৯/২৬১)

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android