আলহামদুলিল্লাহ।
আমরাআল্লাহর কাছেপ্রার্থনাকরি তিনি যেন,আপনাকেপরিপূর্ণসুস্থতা দানকরেন।
আপনাউচিত হবে,আপনারচিকিৎসকেরপরামর্শ নেয়া;যিনিইতিপূর্বেআপনারচিকিৎসা করেছেন।যদি ডাক্তাররোযা রাখারক্ষেত্রে আপনারসক্ষমতানিশ্চিত করেএবং রোযারাখটা আপনারস্বাস্থ্যেরউপর নেতিবাচককোন প্রভাব ফেলবেনা, আপনারসুস্থতাবিলম্বিত হবেনা তাহলেআল্লাহ চাহেতআপনি ও আপনারপিতামাতা এব্যাপারেনিশ্চিন্তহতে পারবেন।এবং আল্লাহরকাছে সাহায্যপ্রার্থনাকরে আপনি রোযারাখা শুরু করতেপারবেন।
পক্ষান্তরে,ডাক্তার যদিমনে করেন,রোযা রাখাটাআপানরস্বাস্থ্যেরজন্য কঠিনহবে, এতে করে আপনারস্বাস্থ্যগতকিছু সমস্যাহবে তাহলে রোযানা-রাখাটাআপনার জন্যউত্তম।রমযানের পরেআপনি সুস্থহয়ে রোযারাখতে পারবেন।
আল-দিরদিরমালিকী (রহঃ)বলেন:
যদিরোগ সম্পর্কঅবহিত কোনডাক্তারধারণা করেনযে, রোযারাখলে রোগবাড়বে কিংবাসুস্থ্যতাবিলম্বিত হবেতাহলে রোযানা-রাখাজায়েয।অনুরূপভাবেরোযা রাখলেযদি রোগী খুবক্লান্ত-অবসন্নহয়ে পড়ে সেক্ষেত্রেও।[আল-শারহুলকাবির (১/৫৩৫)থেকে সমাপ্ত]
শাইখউছাইমীন (রহঃ)বলেন: রোগবেড়ে যাওয়াকিংবাসুস্থ্যতাবিলম্বিতহওয়ার ভয়থাকলে রোযা না-রাখাজায়েয।সুতরাং রোগবেড়ে যাওয়াকিংবা রোগমুক্তিবিলম্বিতহওয়ার আশংকাহলে, কিংবা রোযারাখলে রোগীক্লান্ত হয়েপড়লে— একারণগুলোরকারণে রোযানা-রাখা বৈধ।
পক্ষান্তরে,রোযার উপর যেরোগের কোনপ্রভাব নেই,যেমন দাঁতব্যাথ্যা,আঙ্গুলেরব্যাথ্যাইত্যাদিরকারণে রোযানা-রাখা জায়েযনেই; যতক্ষণনা এগুলোরকারণে ভিন্নকোনপার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসৃষ্টি না হয়।শুধু দাঁতব্যাথ্যাকারণে যদি কেউরোযা না-রাখেএতে তো তারকোন সুবিধা নেই।তবে, ডাক্তারযদি বলে, যদিআপনি রোযানা-রেখে খাওয়া-দাওয়াকরেন এতে করে,আপনার দাঁতব্যাথ্যা,মাড়িরব্যাথ্যাহালকা হবে—তাহলে আমরাবলব: অসুবিধানেই। কারণঅনেক সময়খাদ্যের কমতিরোগেরদীর্ঘসূত্রিতা,ব্যাথ্যা ওচোখের ব্যাথ্যারকারণ হয়।অর্থাৎ রোযারাখাটা যদি রোগেরউপর প্রভাবফেলে তাহলে সেরোযা না-রাখতেপারে। আর যদিপ্রভাব নাফেলে তাহলেরোযা ভাঙ্গবেনা।[তালিকাতআলাল কাফি(৩/১২৩) থেকেসমাপ্ত]
কেবলআদর্শ ওজনেরচেয়ে ওজন কমথাকা রোযানা-রাখার কারণনয়। বরং রোযারকারণে কিধরণের কষ্ট ওক্লান্তি বাক্ষতি আরোপিতহয় সেটা দেখতেহবে। খাদ্যেরযে ঘাটতি সেটারাতের খাবারেরমাধ্যমে পূরণকরা কি সম্ভব,নাকি সম্ভব নয়;সেটাও দেখতেহবে। সুতরাংএকজনবিশ্বস্ত ডাক্তারেরপরামর্শ নিতেহবে এবংডাক্তার যে পরামর্শদিবেন আপনিসেটা মেনেচলতে পারেন।আরও বিস্তারিতজানতে দেখুন 140246 নংপ্রশ্নোত্তর।
আল্লাহইভাল জানেন।