সমস্তপ্রশংসাআল্লাহরজন্য।বাইআত করতেহয় শুধুমাত্রমুসলিমশাসকের হাতে।আহলে হিল্ল ওআকদ তাঁর হাতেবাইআত করবেন।আহলে হিল্ল ওআকদ হচ্ছে-আলেম সমাজ, সম্মানিতও প্রভাবশালীব্যক্তিবর্গ।এ পর্যায়েরব্যক্তিবর্গরাষ্ট্রপ্রধানেরহাতে বাইআতকরার মাধ্যমেতাঁরকর্তৃত্বসাব্যস্তহবে। সাধারণমানুষকেব্যক্তিগতভাবেরাষ্ট্রপ্রধানেরহাতে বাইআতকরতে হবে না।বরং তারা তারআনুগত্য করবেযতক্ষণ নাসেটা গুনাহরআওতায় না পড়ে।
আল-মাজেরিবলেন: “যারাআহলে হিল্লওয়াল আকদ শুধুতারা ইমাম বারাষ্ট্রপ্রধানেরহাতে বাইআতকরলে যথেষ্ট;সর্বসাধারণেরবাইআত করাওয়াজিব নয়।প্রত্যেকব্যক্তিকেসশরীরে তারকাছে হাযিরহয়ে হাতে হাতরাখতে হবে এটাজরুরী নয়। বরংপ্রত্যেকেতার আনুগত্যকরবে, তার কথামেনে চলবে,তার বিরোধিতাকরবে না, তারবিপক্ষে যাবেনা।”[ফাতহুলবারী থেকেসংকলিত]
ইমাম নববী ‘শরহে সহিহমুসলিম’ গ্রন্থেবলেন: বাইআতেরব্যাপারে সকলআলেম একমত যে, বাইআতশুদ্ধ হওয়ার জন্যপ্রত্যেকব্যক্তিকে বাইআতকরতে হবে এমনকোন শর্ত নেই।আহলে হিল্লওয়াল আকদেরপ্রত্যেকব্যক্তিকে বাইআতকরতে হবেসেটাও শর্তনয়। বরং শর্তহচ্ছে- আলেমসমাজ,নেতৃত্বস্থানীয়ব্যক্তিবর্গও প্রভাবশালীলোকদের মধ্যেযাদেরকেএকত্রিত করা সম্ভবহয় তাদের বাইআতকরা...। প্রত্যেকব্যক্তিকেইমাম বারাষ্ট্রপ্রধানেরকাছে এসে হাতেহাত রেখে বাইআতকরতে হবেএমনটি ওয়াজিবনয়। বরং সকলেরউপর ওয়াজিবহচ্ছে-রাষ্ট্রপ্রধানেরনির্দেশ মেনেচলা, তারবিরোধিতা নাকরা, বিদ্রোহীনা হওয়া।” সমাপ্ত
যেসব হাদিসে বাইআতেরকথা এসেছেসেখানে বাইআতদ্বারা রাষ্ট্রপ্রধানেরহাতে বাইআতকরাউদ্দেশ্য।যেমন- নবীসাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামেরবাণী: “যেব্যক্তিমৃত্যুবরণকরল কিন্তুতার গর্দানে বাইআতনেই সেজাহেলিয়াতেরমৃত্যুবরণকরল।”[সহিহ মুসলিম(১৮৫১)]
নবীসাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী:“যেব্যক্তি কোনরাষ্ট্রপ্রধানেরহাতে বাইআতকরেছে, হাত দিয়েও অন্তর থেকেতার সাথেওয়াদাবদ্ধহয়েছে সে যেনযথাসম্ভব সেরাষ্ট্রপ্রধানেরআনুগত্য করে।যদি কোন লোক এরাষ্ট্রপ্রধানেরদায়িত্ব নিয়েটানাটানিকরতে আসে তখনতোমরা সে লোকেরগর্দান ফেলেদাও।”[সহিহমুসলিম (১৮৪৪)]নবী সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামেরবাণী: “যদিদুইজন খলিফারহাতে বাইআতকরা হয় তখনশেষের জনকেহত্যা কর” [সহিহমুসলিম (১৮৫৩)]এ হাদিসগুলোপ্রত্যেকটি রাষ্ট্রপ্রধানেরহাতে বাইআতকরা সংক্রান্ত;এ ব্যাপারেকোন সন্দেহনেই।
বিভিন্নদলের হাতেবাইআত করাসম্পর্কে একপ্রশ্নেরজবাবে শাইখসালেহআল-ফাওযানবলেন: বাইআতশুধুমাত্রমুসলিমরাষ্ট্রপ্রধানেরহাতে করতেহবে। এ ছাড়াযত বাইআত আছেএগুলো বিদআত।এ বাইআতগুলোঅনৈক্যেরকারণ। একইদেশের একইরাজ্যেরমুসলমানদেরউপর আবশ্যকীয়হলো একজনরাষ্ট্রপ্রধানেরহাতে বাইআত করা।একাধিক বাইআতকরানাজায়েয।[আল-মুনতাকামিন ফাতাওয়াসশাইখ সালেহআল-ফাওযান১/৩৬৭]
রাষ্ট্রপ্রধানেরহাতে বাইআতকরার পদ্ধতি:পুরুষেরবাইআত করারপদ্ধতি হবেমৌখিকভাবে ও কর্মেরমাধ্যমেঅর্থাৎমুসাফাহাকরে। আর নারীদেরক্ষেত্রেশুধুমৌখিকভাবে। এপদ্ধতি রাসূলসাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামেরহাতেসাহাবায়েকেরামেরবাইআতের মাধ্যমেসাব্যস্তহয়েছে। এবিষয়ে আয়েশা(রাঃ) এর উক্তিহচ্ছে- “না, আল্লাহরশপথ। রাসূলসাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামেরহাত কখনো কোননারীর হাতকেস্পর্শকরেনি। তিনিতাদেরকেমৌখিকভাবেবাইআত করাতেন।”[সহিহবুখারী (৫২৮৮)সহিহ মুসলিম(১৮৬৬)]
ইমমা নববী(রহঃ)হাদিসটিরব্যাখ্যায়বলেন: এ হাদিসেমহিলাদের হাতনা ধরেমৌখিকভাবেবাইআত করানোরদলিল রয়েছেএবং পুরুষেরহাত ধরে ও মৌখিকভাবেবাইআত করানোরদলিল রয়েছে।” সমাপ্ত
আল্লাহই ভালজানেন।