0 / 0

রাতের বেলা সহবাস করার কারণে যদি দিবাভাগে বীর্য বের হয় তাহলে কি রোজা ভঙ্গ হবে

প্রশ্ন: 49721

প্রশ্ন: রাতের বেলা সহবাস করার পর কখনো কখনো দিবাভাগে জরায়ু থেকে বীর্য বের হয়, এতে কি রোজা ভঙ্গ হবে? এমতাবস্থায় নামাযের জন্য গোসল করা কি ফরজ হবে?

উত্তর

আলহামদুলিল্লাহ ও রাসুলে আল্লাহ ও তাঁর পরিবারের উপর সালাম ও প্রশংসা

সমস্ত প্রশংসাআল্লাহরজন্য।

এক:

রাতের বেলাসহবাস করার পরদিনে যদিবীর্য বের হয়এতে রোজা ভঙ্গহবে না।আমাদের জন্যসূর্যাস্তথেকে ফজর উদিতহওয়া পর্যন্তপানাহার ও সহবাসবৈধ করাহয়েছে।আল্লাহ তাআলাবলেন: “রোযাররাতেতোমাদেরস্ত্রীদেরসাথে সহবাসকরা তোমাদেরজন্য হালালকরা হয়েছে।তারা তোমাদেরপরিচ্ছদ এবংতোমরা তাদেরপরিচ্ছদ।আল্লাহ অবগতরয়েছেন যে, তোমরানিজেদের সাথেখেয়ানত করেছিলে,তবে তিনিতোমাদের তওবাগ্রহণ করেছেনএবং তোমাদেরকেক্ষমা করেদিয়েছেন। এখনতোমরা নিজস্ত্রীদেরসাথে সহবাস করএবং আল্লাহতোমাদের জন্য যাকিছু লিখেরেখেছেন তা(সন্তান) তালাশকর। আরপানাহার করযতক্ষণ না কালোসুতা থেকেভোরের শুভ্র সুতাপরিস্কারফুটে উঠে।…[সূরাবাকারা, আয়াত:১৮৭]

রাতে সহবাসকরার কারণেদিনের বেলায়বীর্য বের হলেরোজা ভঙ্গ হবেনা মর্মে আলেমসমাজ উল্লেখকরেছেন।

হানাফিমাযহাবের “আল-জাওহারাআল-নাইয়্যিরা” গ্রন্থ(১/১৩৮) বলাহয়েছে-

“যদি সহবাসকারীফজরের সময় হয়েযাওয়ার আশংকা থেকেঅঙ্গটি বেরকরে নেয় এবংফজরের সময়শুরু হওয়ার পরবীর্যপাত করেএতে করে তাররোজা ভঙ্গ হবেনা।”সমাপ্ত

মালেকিমাযহাবের “হাশিয়াতুদদুসুকি” গ্রন্থ(১/৫২৩) বলাহয়েছে-

কেউ যদিরাতের বেলায়সহবাস করে আরফজরের ওয়াক্তশুরু হওয়ার পরতার বীর্যপাতহয়; প্রতীয়মানঅভিমত হচ্ছে-এতে কোনঅসুবিধা নেই।এ মাসয়ালা সেমাসয়ালার মত ‘কেউ যদিরাতের বেলায়সুরমা লাগিয়েথাকে সে সুরমাযদি দিনেরবেলায় তারগলায় এসে যায়’ সমাপ্ত।অনুরূপ অভিমত ‘শরহুমুখতাসারিখলিল’গ্রন্থ (২/২৪৯)তে ও রয়েছে।

শাফেয়িমাযহাবের আলেমইমাম নববিতাঁর ‘আল-মাজমু’ গ্রন্থ(৬/৩৪৮) এবলেছেন-

“যদি কেউফজরের আগ থেকেসহবাস শুরুকরে এবং ফজরেরওয়াক্তেরসাথে সাথেঅথবা ফজরেরওয়াক্ত হওয়ারঅনতিবিলম্বেঅঙ্গটি বেরকরে বীর্যপাতকরে তাহলে তাররোজা ভঙ্গ হবেনা। কারণ এবীর্যপাত বৈধসহবাসেরকারণে ঘটেছে। একারণে তার উপরকোন কিছুবর্তাবে না।যেমন- “কেউযদি কিসাসহিসেবে কারোহাত কাটে; ফলেলোকটি মারাযায়।”সমাপ্ত।

দুই:

যদি সহবাসকরে গোসল করেফেলার পরবীর্যপাত হয় সেক্ষেত্রেপুনরায় গোসলকরা ফরজ নয়।কারণ গোসল ফরজহওয়ার কারণ তোএকটি। সুতরাংএক কারণেদুইবার গোসল ফরজহবে না। তবেযদি নতুন কোনউত্তেজনারকারণেবীর্যটি বেরহয় তাহলে গোসলফরজ হবে।

এ বিষয়ে 4494512352 নংপ্রশ্নোত্তরেবিস্তারিতআলোচনা করাহয়েছে।

আল্লাহই ভালজানেন।

সূত্র

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android